নূর চৌধুরী
সামনে বিশাল গেট। কয়েকজন অভ্যর্থনাকারী পরপর দাড়িয়ে আছেন ওয়েলকাম জানানোর জন্য। বাম দিকে ভোজন শালা আর ডান দিকে হলরুম। ভোজনশালাটি অনেক বড় পরিসরে সাজানো। খেয়াল করলাম খাবার টেবিলে আগে থেকেই বসে আছেন আমাদের বিশিষ্টজন উপমহাদেশের স্বনামধন্য কবি লেখক গবেষক বাংলা একাডেমির সভাপতি একাডেমিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখিকা সেলিনা হোসেন সাথে আছেন বিশিষ্ট কবি লেখক সাংবাদিক জনাব নাসির হোসেন ফারুক মাহমুদ প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী সিরাজুল ইসলামসহ উর্ধত্বন কর্মকর্তাগন চেয়ারম্যান রোকেয়া ইসলাম ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক ঐক্যজোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস ও ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদের সভাপতি ডঃ দেবব্রত দেবরয় প্রবেশ করেন ।
আমরা খুব একটা ক্ষুধার্ত নই। তবে হালকা বৈকালিন চা নাস্তার জন্য কিছুটা ক্ষুধার্ত। আমাদের সাথে বসেছেন ভারতের অতিথি বন্ধুদের কয়েকজন। জিজ্ঞেস করলেন এখন কি ভাত দিবে দাদা।
কারণ তাদের অনেকেরই দুপুরের খাওয়া হয়নি
একটা অনুষ্ঠান শেষ করেই তারা কেউ কেউ মার্কেটে ঢুকেছিল কেনাকাটার উদ্দেশ্যে।
ততোক্ষণে গাড়ি চলে গিয়েছিল হোটেল প্রাঙ্গণে।
থেকে মীর নাসিমুল ইসলাম ভাই বললেন, ভাত এখন না। আপনার কি ভাতের ক্ষিধে আছে তাহলে ব্যবস্থা করি।
উনি অসম্মতি জানালেন হয়তো এটা ভাতের সময় নয় বলেই অথবা লজ্জায়।
ততক্ষণে টেবিলে নাস্তা এসে হাজির। গরম গরম পুরি সাথে সব্জিবড়া আর রাজশাহীর মজাদার আম। পুরির সাথে আম দেওয়ায় আমাদের একজন কবি আম আর পুরি এক সাথে খেয়ে বলছেন ভাই খেয়ে দেখেন কি টেস্ট আম আর পুরি এক সাথে।
ততোক্ষণে প্লেট ভর্তি করে বাড়তি পুরি সবজিবড়া আম নেওয়া হলো।
তৃপ্তি সহকারে পেটভরে খেলেন এবং আমাদের আথিতেয়তায় মুগ্ধ হয়ে ধন্যবাদ দিলেন। । মানসম্মত খাবার এবং আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশনাও চমৎকার
প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের একজন আইটি উরধতনকর্মকর্তার সাথে কথা হলো। তিনি জানালেন এখানে অনায়াসে এক সাথে পাচশত লোকের খাবারের ব্যবস্থা আছে। এরপর ধুমায়িত চা। চুমুকেই চাঙ্গা হয়ে ওঠলো সবাই।
এরই মধ্যে খেয়াল করলাম ফটো তোলার ধুম পড়েছে। সবাই যার যার টেবিলে ছবি তোলার পর সমবেতভাবেও ছবি তুলছে। নিজেকে সামলাতে পারলাম না তাই কবি নিলুফা জামান ছাদ,বাগান আন্দেলনের অগ্রনায়ক মামুনুর রশীদ ভাইওয়ের ক্যমেরায় ক্লিক ক্লিক করে উঠছে। আমিও আমার ক্যামেরায় ছবি নিলাম। অনেক প্রোগ্রামে খেয়াল করলাম কবি কথাসাহিত্যিক রোকেয়া ইসলাম কখনও তার মোবাইল বের করে ছবি তুলে না বা ছবি তোলার সময়ও তার হয়ে ওঠে না, তবে তার বিপুল ভক্তগোষ্ঠী তার অজান্তেই তার বিভিন্ন মূহুর্তের ছবি তুলে ফেলে । আমি নিজেও তার ছবি তুলে দেই।
প্রশিকার প্রধান নির্বাহী সিরাজুল ইসলাম উপ প্রধান নির্বাহী আবদুল হাকিম উপ প্রধান নির্বাহী কামরুল হাসান কামাল সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিবর্গের ছবিও তুলতে থাকি।
সময়ের স্বল্পতায় ছবি তোলা ক্ষান্ত দেই। হলে ঢোকার তাগিদ আসতে থাকে। নির্ধারিত সময় থেকে পিছিয়ে আছি প্রায় আধাঘন্টা।
সবাই একএক করে হল রুমের প্রবেশ করলাম।
দুই দেশের সম্প্রীতি বন্ধনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু। সকলের করতালি আর লেখিকা সেলিনা হোসেনের উদ্বোধনী বক্তব্যের ও মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলনের মধ্য দিয়ে শুরু হলো আনুষ্ঠানিকতা।
সমবেত কন্ঠে দুইদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হলো ।
(চলবে)
Leave a Reply